প্রাথমিক কিছু কথা

প্রাথমিক কিছু কথা

আমি একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হিসেবে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কীয় নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই জানা থাকা দরকার। সেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বা বিষয় গুলো আরো ভালোভাবে বলতে গেলে আমরা গৃহী হিসেবে গৃহীর প্রাত্যহিক বন্দনা, পূজা এবং মঙ্গলময় বুদ্ধ বচন বা কিছু কিছু সূত্র জানা থাকা অতীব জরুরী। যেগুলো (প্রাত্যহিক বন্দনা, পূজা এবং মঙ্গলময় বুদ্ধ বচন বা কিছু কিছু সূত্র পাঠ) করলে আমাদের পারিবারিক সুখ, শান্তি ও উন্নতি হবে। তাই একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গৃহী হিসেবে এগুলো সবার করা অতি অবশ্যই কর্তব্য। আর এগুলো চিন্তা করে আমি আমার এই ব্লগ সাইটে একজন বৌদ্ধ হিসেবে আমাদের নিত্য প্রতিপালনীয় বিষয় গুলোই তুলে ধরতে চেষ্টা করব। যাতে একজন সাধারণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ বৌদ্ধ ধর্মীয় নিত্য প্রতিপালনীয় সাধারণ বিষয় গুলো জেনে প্রতিদিনকার পালনীয় বিষয় গুলো অবগত হয়ে সেমত কাজ করে একজন ধর্মপ্রাণ আদর্শ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে বা আদর্শ বৌদ্ধ হিসেবে পরিচয় দিতে পারে।
    আর এসব বিষয় গুলো এই সাইটে ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন বা তুলে ধরব। আমরা যারা অনেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ঘরে জন্ম গ্রহণ করেও বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতির সাথে অপরিচিত বা বৌদ্ধ ধর্মীয় আচার আচরণ গুলো ঠিকমত ওয়াকিবহাল নয়। তাদের জন্য এই সাইটের পোস্টগুলো খুবই উপযোগী হবে। যারা অন্ততঃ গভীর আগ্রহ ও শ্রদ্ধা নিয়ে এই পোস্ট গুলো(সকাল বিকাল বুদ্ধ বন্দনা, পূজা, প্রার্থনা, ত্রিরত্ন বন্দনা, বুদ্ধের নয়গুণ, ধর্মের ছয় গুণ, সঙ্ঘের নয়গুণ বন্দনা, অট্‌ঠবিসতি বুদ্ধ বন্দনা, সীবলী মহাথেরো বন্দনা, উপগুপ্ত মহাথেরো বন্দনা, আর্যশ্রাবক বনভান্তে বন্দনা, মৈত্রী ভাবনা ও মোর পরিত্তং, বার অনুসারে সূত্র আবৃত্তি করা) ভালোভাবে পড়বেন জানবেন এবং পালন করার চেষ্টা করবেন তাদের জন্য এগুলো প্রভূত মঙ্গলজনক হবে। এগুলো নিত্য প্রতিপালন করলে গৃহী হিসেবে দিবা-রাত্রি পুণ্য বৃদ্ধি হয় এবং সুখ-শান্তি বৃদ্ধি হয়।
বুদ্ধের গুণ অনন্ত, ধর্মের গুণ অনন্ত, সঙ্ঘের গুণ অনন্ত। বুদ্ধের গুণ স্মরণ করলে নিত্য পুণ্য লাভ হয়।
ধর্মের গুণ স্মরণ করলে নিত্য পুণ্য লাভ হয়।সঙ্ঘের গুণ স্মরণ করলে নিত্য পুণ্য লাভ হয়। বুদ্ধ তার উপদেশে কিভাবে সর্ব প্রাণির সুখ ও শান্তি হয় সেগুলোই বলে গেছেন। তা তার বিভিন্ন উপদেশে ব্যাখ্যা করে গেছেন। সেসব উপদেশ আমরা ত্রিপিটক শাস্ত্রে পায়। তাই ত্রিপিটক অধ্যায়ন করা কর্তব্য। 
ত্রিপিটকের অংশ হল এই বুদ্ধ বন্দনা, ধর্ম বন্দনা, সংঘ বন্দনা,পূজা, সূত্র গুলো। তাই এই গুলো পাঠ এবং আবৃত্তি করা উচিত। আর এটা জেনে সকলের এসব বন্দনা, পূজা এবং কিছু সূত্রাবলী অবশ্যই জানা কর্তব্য। আর এ লক্ষ্যে সবার অতি প্রয়োজনীয় হিসেবে আমি আমার এই ব্লগপোস্টে আপনাদের সকলের উপকারে লাগবে সেইসব বন্দনা ও সূত্রাবলী তুলে ধরব। আশা করি একজন বৌদ্ধ হিসেবে নিত্য দরকারী সূত্রগুলো আমার এই ব্লগপোস্ট থেকে অনায়াসে শিখতে পারবেন। তাই আর বেশি কথা না বলে দরকারী বন্দনা ও সূত্রগুলো নিম্নরূপ ভাবে সাজিয়ে দিলামঃ
 
 নমো তস্স ভগবতো অরহতো সম্মাসম্বুদ্ধস্স।(৩ বার)।
  

 ত্রিরত্ন বন্দনাঃ 
 
বুদ্ধং বন্দামি, ধম্মং বন্দামি, সংঘং বন্দামি অহং বন্দামি সব্বদা। (দুতিযম্পি.........................ততিযম্পি)।
 
ত্রিরত্ন বন্দনাঃ
 
 ১।     যো সন্নিসিন্নো বরবোধিমূলে, 
         মারং সসেনং মহতিং বিজেত্বা।
         সম্বোধি মাগঞ্ছি অনন্তঞাণো, 
         লোকুত্তমো তং পণমামি বুদ্ধং । 
২।     অট্ঠঙ্গিকো অরিযপথো জনানং,
         মোক্খপ্পবেসা উজুকো'ব মগ্গো। 
         ধম্মো অয়ং সন্তিকরো পণীতো,
         নীয্যাণিকো তং পণমামি ধম্মং।
 ৩।    সঙ্ঘো বিসুদ্ধো বর-দক্খিণেয্যো, 
         সন্তিন্দ্রিযো সব্বমলপ্পহীনো।
         গুণেহি নেকেহি সমিদ্ধিপ্পত্তো,
         অনাসবো তং পণমামি সঙ্ঘং।
 

Post a Comment

0 Comments